শিক্ষক-শিক্ষিকা নিগ্রহ এবং শিক্ষক "রাজকুমারের" ক্ষত বিক্ষত দেহ, এভাবেই বেরঙীন শিক্ষক দিবস! - BBP NEWS

Breaking

Wednesday, September 5, 2018

শিক্ষক-শিক্ষিকা নিগ্রহ এবং শিক্ষক "রাজকুমারের" ক্ষত বিক্ষত দেহ, এভাবেই বেরঙীন শিক্ষক দিবস!

বিবিপি নিউজ,মনি ভট্টাচার্য্য: সমাজের মেরুদন্ড গঠনের মূল কান্ডারি হল শিক্ষক,যুব সমাজের একনিষ্ঠ পথ প্রদর্শক শিক্ষক, কিন্তু যখন ভোটের ডিউটি করে পরের দিন সকালে শিক্ষক রাজকুমারের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়,তখন কোথাও যেন আত্মসম্মান ক্ষুন্ন হয় সমাজের,অতিশয় ক্ষুদ্র মস্তিস্ক যুক্ত ছাত্র যখন তার শিক্ষক রাজকুমারের খবর দেখে তখন কোথাও না কোথাও সেই ছাত্র টিও নিজের অজান্তে ঘৃণা করতে শুরু করে সমাজ কে,যেখানে শিক্ষকদের জন্য নেই সন্মান,নেই আন্তরিকতা নেই ভালোবাসা,আছে শুধু যাতনা,ক্ষত বিক্ষত হয়ে রক্তাত্ব অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে শিক্ষকের অবশেষে।

আবার কোথাও সেই ছাত্রের স্বার্থে,ছাত্র কে শাসন করলে  নিগ্রহ হতে হয় তাকে,আটক  হয় প্রধান শিক্ষক,
একের পর এক শিক্ষক নিগ্রহ,প্রাণ নাশের হুমকি,পরের দিন সংবাদপত্রের হেডলাইন,
তারপর বসে তদন্ত কমিটি,সঠিক বিচারের আশ্বাস,এতে যদি ক্ষান্ত হয় তবে তো বেশ,নইলে রেল লাইনে মেলে দেহ,
তারপর আবার কিছুদিন হইচই এরপর আসে ভোট,পুজো,সবাই সব ভুলে যায়,এভাবে বিকিয়ে যায়  শিক্ষক মেরুদন্ড,
একটু ভাবতেও অবাক লাগে ভাগ্যের নয়  শিক্ষার কি পরিহাস!!!

ওদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আজ  উৎসবাকারে পালন হচ্ছে শিক্ষক দিবস,কিন্তু কোনো হত দরিদ্র শিক্ষকের মনে যদি প্রশ্ন ওঠে রাজকুমারের মৃত্যুর বিচার কই?

কে দেবে উত্তর?প্রশ্ন করা যে মানা,
জেলায়-জেলায়,স্কুলে-স্কুলে,বাড়ছে শিক্ষক নিগ্রহ,বিলীন হয়ে যাচ্ছে শিক্ষকদের সন্মান,অপঘাতে মৃত্যু হচ্ছে শিক্ষক দের,
এসবের দায় কার?সরকারের নাকি শিক্ষকদের,
ঠিক এরকম ভাবে ধীরে ধীরে বেরঙীন হয়ে পড়ছে শিক্ষক দিবসের রং।

কলম,ডাইরি আর মৃত দেহ,উদ্ধার ঝোপে,
শিক্ষকের মুন্ডু তো!!নামিয়ে দিয়েছে এক কোপে,
শ্রদ্ধা আর সন্মান বিলীন সমাজে,
সাদা ছুরিটা বিদ্ধ আজ,শিক্ষকের বুকের খাজে,
তবুও আজ সাজুগুজু শিক্ষক দিবসে,
কান্না রূপে একফোটা জল শিক্ষকদেরই খসে। 

Pages